অসহযোগ আন্দোলনে কি?
যারা জানেন না তারা দেখে নিন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জরুরি নির্দেশনা:
১। কেউ কোন ধরণের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না। যেমন বাড়ির খাজনা,দোকানের খাজনা,জমির খাজনা, হোল্ডিং খাজনা ইত্যাদি।
২। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিলসহ কোন ধরণের বিল পরিশোধ করবেন না। (যারা প্রিপেইড গ্রাহক এবং বিদ্যুৎ সচল রাখা প্রয়োজন আপনারা প্রয়োজনে রিচার্জ করে রাখতে পারেন
৩। সকল ধরণের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কল কারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না, মাস শেষে বেতন তুলবেন। ব্যাংক বা এটিএম বন্ধ থাকলে উক্ত টাকা মোবাইল ফিন্যান্স সার্ভিসে অ্যাড মানি করে এজেন্ট বা উদ্যোক্তা থেকে ক্যাশ আউট করে নেবেন।
৪। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কেউ স্কুলে যাবেন না এবং স্কুলের বেতনাদী পরিশোধ করবেন না।
৫। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোন ধরণের রেমিটেন্স দেশে পাঠাবেন না। পরিবারের বিশেষ প্রয়োজনে অন্য মাধ্যম গুলি ব্যবহার করবেন। যেমন বিকাশ রকেট নগদে টাকা পাঠাবেন।
৬। সকল ধরণের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন। সরকার কর্তৃক কোন সমাবেশ বা আলোচনা সভা থাকলে তাতে উপস্থিত হবেন না বর্জন করবেন।
৭। বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দিবেন না! কোন ধরণের পণ্য খালাস করবেন না। যারা বিভিন্ন বন্দর বা পোর্ট এ কাজ করেন তারা কাজে যাবেন না এবং সকল ধরনের পন্য সরবরাহ বন্ধ থাকবে। পণ্য স্টক আউট হবে না।
৮। দেশের কোন কলকারখানা চলবেনা, গার্মেন্টসকর্মী ভাই বোনেরা কাজে যাবেন না! দেশে যত সকল কলকারখানা বা গার্মেন্টস আছে ঐ সকল গার্মেন্টস কর্মী আপনারা কাজে যাবেন না ফলে গার্মেন্টসের সকল কাজ বন্ধ থাকবে এবং তারা শর্ত মানতে বাধ্য হবে।
৯। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না। দেশের সকল যানবাহন বন্ধ থাকবে। বিশেষ প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স সহ অন্যান্য পরিষেবা চালু রাখবেন।
১০। জরুরি ব্যাক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রবিবারে ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে। জরুরী প্রয়োজনে ব্যাংকগুলা খোলা থাকবে বিশেষ প্রয়োজনে তাও বন্ধ রাখা হবে।
১১। পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ব্যাতিত কোন ধরণের প্রটোকল ডিউটি, রায়ট ডিউটি ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধু মাত্র থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।
১২। দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সকল অফশোর ট্রান্জেকশন বন্ধ থাকবে। তা না হলে দেশের দেশের সকল অর্থ বিদেশে পাচার করে দিবে
১৩। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যাতিত অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।
১৪। আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।
১৫। বিলাস দ্রব্যের দোকান, শো রুম, বিপনী-বিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।
★হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা যেমন-ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহণ, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণ, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণ সহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহণ সেবা চালু থাকবে।
★নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১-১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে!
নির্দেশনায়ঃ
আসিফ মাহমুদ
সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
কোনো কিছু জানার বা অভিযোগ থাকলে নিচে কমেন্ট করুন