ব্লগার থেকে আয় করুন |
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালোই আছেন।
ব্লগার থেকে কিভাবে আয় হয়ঃ-
আজকের ব্লগে আপনাদের সাথে অনলাইন থেকে টাকা আয় করা নিয়ে নতুন একটি সহজ ও বেশি টাকা আয় করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। উক্ত সার্ভিস আপনারা ফ্রিতে ও ব্যবহার করেও টাকা আয় করতে পারবেন। দ্রুত ও বেশী টাকা আয়ের লক্ষে আপনারা কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন। আপনার কাছে টাকা না থাকলে বা টাকা খরচ করতে না চাইলে ফ্রিতেই শুরু করতে পারবেন। উক্ত আর্টিকেলে আপনারা ব্লগার থেকে টাকা করা থেকে শুরু করে এই নিয়ে বিস্তারিত লেখা হবে।
উক্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার এই বিষয়ে সকল তথ্য জানতে পারবেন। ব্লগার থেকে টাকা আয় করার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আলোচনা করা হবে।
কিভাবে ব্লগারে নিজের একাউন্ট একাউন্ট খুলবেন এবং উন্নত মানের ইউনিক কন্টেন্ট পোস্ট করবেন এই নিয়েও আলোচনা করা হবে। কিভাবে SEO করবেন এই নিয়েও উক্ত আর্টিকেলে জানতে পারবেন।
অনুরোধ করব আপনারা ব্লগ/আর্টিকেলটি আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
নিচে ধাপ অনুসারে ব্লগার থেকে টাকা আয় করা নিয়ে লেখা হয়েছে।
ব্লগার কিঃ
ব্লগার হলো আমেরিকার একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট যেটার মাধ্যমে যে কেউ নিজের ওয়েবসাইট খুলতে পারবে। ব্লগার ওয়েবসাইট এতটাই জনপ্রিয় যে প্রায় সকল মানুষেই এটিকে ব্যবহার করে। এটি একটি সাইট। এটার মাধ্যমে যে কেউ ফ্রিতে একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে। তবে, আপনার সাইট কে প্রফেশনাল ও দ্রুত সারা বিশের মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। আপনি চাইলে টাকা খরচ না করেও নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন।
ব্লগার নিয়ে বিস্তারিতঃ
১। ব্লগার গুগল কর্তৃক বানানো ও গুগল কর্তৃক চালিত
২। ব্লগার এর মালিক গুগল
৩। ব্লগারে হোস্টিং লাগে না
৪। ব্লগারের কেউ ডোমেইন নিলে তাকে ফ্রিতে একটি ডোমেইন দেয়া হয়। (blogspot.com)
৫। আপনারা চাইলে কাস্টম বা যেকোনো ডোমেইন কানেক্ট করতে পারবেন। (.com/.org/.net)
৬। ব্লগারে এডসেন্স তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়।
৭। ব্লগারে অত্যন্ত সহজ(যেকেউ এখানে কাজ করতে পারে)
৮। ব্লগারে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা সহ প্রায় সকল ভাষায় আর্টিকেল লিখা যায়।
৯। ব্লগার খুলতে শুধু একটি ইমেইল একাউন্ট প্রয়োজন হয়।
১০। ব্লগারে মোবাইল দিয়েও কাজ করা যায়।
১১। ব্লগারে হোস্টিং কেনা বা রিনিউ করার ঝামেলা নাই। ( হোস্টিং বাবদ অনেক টাকা খরচ হয় না)
১২। যেকোনো ধরণের সাইট খোলা যায়।
১৩। উন্নত মানের থিম বা টেমপ্লেট ফ্রিতে কানেক্ট করা যায়।
১৪। আরো অনেক সুবিধা আছে।
১। ব্লগারে নিজের একাউন্ট খোলার জন্য আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট এর প্রয়োজন হবে।
প্রথমে আপনার জিমেইল মোবাইল বা কম্পিউটার এর যেকোন ব্রাউজার এ সাইন ইন করুন।
সাইন ইন করার পর ভিজিট করুনঃ blogger.com
উক্ত সাইটে ভিজিট করার পর একটি লিখা পাবেন Create Blog নামে সেটাতে ক্লিক করুন।
তারপর আপনার সাইটের নাম বা টাইটেইল দিবেন। যেমন উপরে blogger/youtube/facebook এইগুলোই হলো সাইটের নাম বা টাইটেইল আপনি যেই নামে সাইট খুলতে চান এইখানে সেই নামে দিবেন।
এখন আপনার কাছে সর্বশেষ ধাপ চাইবে এইখানে আপনার আপনার সাইট এর এড্রেস দিতে হবে। অর্থাৎ আপনার সাইট বা ওয়েবসাইট এর লিংক দিতে হবে। এখন আপনার জানতে চাইবেন এড্রেস বা ওয়েবসাইট লিংক কীঃ আপনারা একটু আগে blogger.com সাইটে ভিজিট করেছেন তাই না; এখানে blogger হলো সাইট এর নাম এবং blogger.com হলো উক্ত সাইট এর এড্রেস। প্রথমে আপনি blogger.com এর মত .com ডোমেইন পাবেন না। আপনি .blogspot.com নামের একটি সাব ডোমেইন পাবেন। আপনি উক্ত .blogspot.com নামের এড্রেস দিয়েও কাজ চালাতে পারবেন। পরে আপনি যেকোনো কাস্টম বা নিজের কোনো ডোমেইন উক্ত সাইটে সাথে কানেক্ট করতে পারবেন।
আরেকটি উদাহরণ দেয়ঃ
আপনারা এই লিখা গুলো পড়ছেন এটাকেউ আমি ব্লগারের মাধ্যমে বানিয়েছি।
এইখানে BENGALI KNIGHT হলো আমার ওয়েবসাইট এর নাম।
এইখানে bengaliknight.xyz হলো আমার সাইট এর এড্রেস বা লিংক।
প্রথমে আপনাকে আপনার সাইট এর নামের সাথে মিলিয়ে একটি এড্রেস দিতে হবে।
যেমন, আপনার সাইট এর নাম যদি হয় Fress food
ওয়েবসাইট নাম বা টাইটেইল হবে- Fress Food
ওয়েবসাইট এর এড্রেস হবে- fressfood.blogspot.com
পরে আপনারা কাস্টম ডোমেইন কিনে .com কানেক্ট করতে পারবেন তখন আপনার সাইট এর এড্রেস হবে- fressfood.com ( এই ডোমেইন খালি বা কেউ এই ডোমেইন নিজের নামে রেজিস্টার করেনি এমন হতে হবে।
মনে রাখবেন একই নামের ডোমেইন একের অধিক মানুষ চালাতে পারবে না। অর্থাৎ আমার সাইট এর লিংক bengaliknight.xyz এখন কেউ চাইলেই এই ডোমেইন নিতে পারবে না কারণ এই ডোমেইন ইতিমধ্যেই আমার নামে রেজিস্টার হয়ে আছে।
ব্লগার নিজের সাইট খোলার সময়ও আপনি যেই এড্রেস দিয়ে ব্লগ খুলতে চান সেই এড্রেস এ কেউ সাইট খুলে নিলে আপনি এই এড্রেস এ নিতে পারবেন না। আপনি উক্ত নামের সাথে কিছু সংখ্যা বা বর্ণ যোগ করে সাইট খুলতে পারবেন।
কোন সাবডোমেইন খালি আছে তা জানতে blogger.com সাইটে ভিজিট করুন।
এইভাবে আপনারা খুব সহজেই যেকোনো ব্লগার সাইটের নিজের একটি ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
২। ব্লগারে ওয়েবসাইট কি কি লাগেঃ
১। মোবাইল/ল্যাপটপ/কম্পিউটার
২। ইন্টারনেট
৩। ই-মেইল
৪। সাইটের নাম বা টাইটেইল
৫। সাইটের এড্রেস
৬। ইত্যাদি
*ব্লগারে ওয়েবসাইট খোলার আগে ওয়েবসাইট এর নাম এবং এড্রেস কি দিতে চান তা সিলেক্ট করে রাখবেন।
৩। ব্লগার সাইট কাস্টামাইজড করাঃ
ব্লগার সাইটে এড্রেস দেওয়ার পর থেকেই আপনারা আপনাদের সাইটে পোস্ট করতে পারবেন। কিন্তু প্রফেশনাল ভাবে পোস্ট ও সুন্দর করে পোস্ট করলে সাইট দ্রুত গ্রো করে
সাইট খোলার পর প্রথমে সাইটের সেটিংস অপশন থেকে মেটা ট্যাগ সহ আরো অনেক SEO রিলেটেড কাজ আছে সেগুলো করবেন।
এর পর আপনার চ্যানেলের জন্য একটি থিম বাচাই করে তা এপ্লাই করবেন। থিম বিষয়ে জানতে গুগলে সার্চ করবেন best blogger theme. এর পর কয়েকটি ওয়েবসাইট থেকে নিজের পছন্দ মত থিম ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারবেন। ফ্রিতে ডাউনলোড করলে কিছু সার্ভিস পাবেন না কিন্তু কাজ প্রফেশনালি করতে পারবেন। আপনার কাছে টাকা থাকলে তা দিয়ে থিম কিনতে পারেন এতে আপনারা কিছু আলাদা সুবিধা পাবেন।
আপনার সাইট আরো জনপ্রিয় ও গ্রো করার জন্য .com একটি ডোমেইন নিতে পারেন। .com ডোমেইন নিলে আপনার সাইট আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।
৪। ব্লগারে পোস্ট করাঃ
ব্লগারে পোস্ট করার সময় একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কোনো সাইট থেকে কোনো প্রকার লেখা/ছবি/এনিমেশন কপি করা যাবে না। সব সময় নিজের মত করে ইউনিক ও কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন্ট পোস্ট করবেন। কপি করলে কখনো আপনার সাইট গ্রো করবে না বা আপনি এডসেন্স এপরুভাল ও পাবেন না। তাই সব সময় এই জিনিস টা মাথায় রাখতে হবে।
আপনারা কখনো কোনো ১৮+ কন্টেন্ট/মুভি সাইট/মুভি ডাউনলোডিং সাইট/ প্রিমিয়া অ্যাপ ফ্রিতে ডাউনলোড/ফিশিং সহ আরো অনেক অনেক সাইট আছে সেগুলো দিয়েও এডসেন্স পাবেন না। সর্বদা চাইবেন আপনি যাই লিখছেন না কেন সবগুলো যেন আপনার কন্টেন্ট হয়।
এসব শর্ত মেনে আপনারা ব্লগার সাইট এ যাবেন।
আইকনে বা new post এ ক্লিক করে আপনারা পোস্ট করতে পারবেন। পোস্ট এর ট্যাব ওপেন হয়ে যাবে। এখন এইখানে আপনারা যেই বিষয়ের উপর লিখতে চান তা লিখবেন। টেক্সট/ছবি সহ প্রায় সকল কিছু নিয়ে পোস্ট করতে পারবেন। পোস্ট এর ট্যাব অনেক টা MS WORD এর মত। যারা MS WORD ব্যবহার করেছেন তারা খুব সহজেই এখানে লিখতে পাবেন।
৫। কিভাবে পোস্ট লিখবেনঃ
ব্লগারে না লিখে আপনারা MS WORD অথবা Google Docs এ লিখতে পারেন, পরে এখান থেকে কপি করে ব্লগারে পেস্ট করে দেবেন। এই কাজ আপনারা কম্পিউটার এর পাশা পাশি মোবাইল দিয়েও করতে পারবেন। কম্পিউটার দিয়ে প্রফেশনাল ভাবে পোস্ট করতে পারবেন।
৬। কিভাবে কিভাবে পোস্ট আপলোড করবেনঃ
পোস্ট লিখা শেষ হলে আপনারা পোস্ট ট্যাবের ডানদিকে কিছু অপশন দেখতে পারবেন;
ক্যাটাগরি- আপনারা পোস্ট কোন ধরনের তা এইখানে লিখে দিবেন।
পারমালিংক- এই অপশনে আপনারা নিজের মত করে লিংক সেট করতে পারবেন। আপনার পোস্ট এর টাইটেইল অনুযায়ী তারা একটি লিংক সেট করে দেবে। এইখানে আপনার চাইলে নিজের মত করে পোস্ট এর লিংক সেট করতে পারবেন।
লোকেশন- এই খানে আপনার পোস্ট কোনো জায়গায় জন্য তা লিখে দিতে পারেন। আপনার পোস্ট যদি বাংলাদেশের জন্য হয় তাহলে এখানে Bangladesh লিখে দিবেন।
ট্যাগ - এই অপশনে আপনারা আপনার পোস্ট রিলেটেড ট্যাগ লিখে দেবেন। ১৫০ শব্দের মধ্যে । এইভাবে - earn money,earn money online, online money, how to make money, make money online
৭। পোস্টের জন্য ছবি কিভাবে বানানো যায়ঃ
মোবাইল দিয়ে করতে Pixellab/picsart/snapseed/logomakerplus/canva এর অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে বানাতে পারেন। এই অ্যাপ গুলো থেকে আপনারা আপনাদের ওয়েবসাইটের লোগো/পোস্টের ছবিও বানাতে পারেন।
কম্পিউটার এর জন্য আপনারা এডুবি ইলাস্ট্রেটর/ফটোশপ/ক্যানভা সহ আরো অনেক সফটওয়্যার বা ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে থাম্বনেইল সহ লোগো/পোস্ট ছবি বানাতে পারবেন।
৮। পোস্ট টাইটেইল কিভাবে দিবেনঃ
পোস্ট ট্যাবের উপরে একটা খালি বক্স দেখতে পাবেন। এখানে ক্লিক করে আপনার নিজের মত পোস্ট রিলেটেড টাইটেল দিতে পারবেন।
৯। ইনকাম শুরু করাঃ
যদি আপনারা কোনো ডোমেইন না কিনেন তাহলে সাইট খোলার ১ মাস পর মাসে পর এডসেন্স এ আবেদন করতে পারবেন।
যদি টপ লেভেল ডোমেইন নেয়া থাকেঃ
১৫+ দিন পর আবেদন করতে পারবেন।
১৫+ ইউনিক ও এডসেন্স ফ্রেন্ডলি পোস্ট করতে হবে।
যদি কোনো কাস্টম ডোমেইন নেয়া না থাকেঃ
১ মাস পর আবেদন করতে পারবেন।
৩০+ পোস্ট করে আবেদন করতে পারবনে।
আবেদন করার পরবর্তী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আপনাকে জানানো হবে।
১০। এডসেন্স চালু ও ইনকাম শুরুঃ
আপনি যখন এডসেন্স এর আবেদন করবেন তার কিছু দিন পর আপনাকে মেইল এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। যদি এপ্রুভাল পেয়ে যান তাহলে এর পর থেকে আপনি আপনার সাইটে গুগল এডসেন্স এর এড কোড বসিয়ে এড দেখাতে পারেন।
এর পর যদি কোনো ভিজিটর আপনার সাইটে আসে সেই আপনার সাইটের বিভিন্ন জায়গায় এদ/বিজ্ঞাপন দেখতে পাবে। এই বিজ্ঞাপন এর কারনে আপনাকে কিছু কমিশন দেয়া হবে।
১১। এডসেন্স একাউন্ট খোলার সময় সতর্কতাঃ
ক/ যার নামে একাউন্ট করবেন তার নামে যাতে আইডি কার্ডের সাথে মিল থাকে
খ/ যেই ইমেইল এর মাধ্যমে এডসেন্স একাউন্ট করবেন সেই ইমেইল এ যেন বয়স ১৮+ দেয়া থাকে।
৩। এড্রেস+পোস্ট কোড+ মোবাইল নাম্বার যাতে ভূল না হয়।
সতর্কতাঃ একজন মানুষের নামে একটি-ই এডসেন্স খোলা সম্ভব। একের অধিক খোলার চেষ্টা করলে সকল একাউন্ট সাস্পেন্ড হয়ে যেতে পারে।
১২। এডসেন্স ভেরিফাইঃ
ব্লগার সাইটের সাথে যখন এডসেন্স কানেক্ট হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে এড বা বিজ্ঞাপন দেখানো হবে, তখন আপনার সাইটে দেখানো বিজ্ঞাপনের থেকে কিছু টাকা আপনার এডসেন্স এ যোগ হবে।
যখন আপনার ব্লগার সাইটে দেখানো এড মাধ্যমে আপনার এডসেন্সে ১০$ যোগ হবে তখন গুগল কর্তূক আপনার ঠিকানায় একটি চিঠি পাঠানো হবে। যেটা এডসেন্স চিঠি বা পিন ভেরিফাই চিঠি বলে। উক্ত চিঠি আপনার দেয়া ঠিকানায় পাঠানো হবে,আপনি এডসেন্স এর একাউন্ট করার সময় যে ঠিকানা দিয়েছেন সেই ঠিকানায় চিঠি দেয়া হবে।
চিঠিতে একটি ৬ সংখ্যার কোড বা পিন থাকে। উক্ত পিন বা চিঠি পাওয়ার পর এডসেন্স একাউন্ট এ লগইন করে পিন সাবমিট করেই একাউন্ট ভেরিফাই হয়ে যাবে।
ভেরিফাই করার পর আপনার একাউন্ট ফুল ভেরিফাইড হয়ে যাবে।
১৩। এডসেন্স এ ব্যাংক একাউন্টঃ
আপনার এডসেন্স একাউন্ট এ যখন ১০০$ হবে তখন আপনারা দেশের যেকোনো ব্যাংক একাউন্ট এড করতে পারেন। বাংলাদেশী হলে রকেট একাউন্ট ও এড করতে পারেন। ব্যাংক একাউন্ট এড করার পর যখন আপনার এডসেন্স এ ১০০ ডলার হবে তখনই আপনার ব্যাংক একাউন্টে ১০০$ এর সমপরিমান টাকা পাঠানো হবে।
ইউটিউব থেকে আয় করা টাকা প্রতি মাসের ১০/১১ তারিখ আপনার এডসেন্স এ যোগ হয়। তা কিছুদিন পর উক্ত টাকা এডসেন্স থেকে আপনার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
১৪। ব্যাংক হতে টাকা উত্তোলনঃ
আপনার ব্যাংক একাউন্ট এ টাকা আসলে আপনি মেসেজ পেয়ে যাবেন। তারপর ব্যাংক হতে চেক এর মাধ্যেম অথবা এটিএম কার্ডের মাধ্যমে যেকোনো সময় টাকা তুলতে পারবেন।
১৫। কিভাবে বেশী টাকা আয় সম্ভবঃ
আপনার সাইটে যত বেশি ভিজিটর আসবে আপনার আয় তত বেশী হবে।
আপনি ব্লগার সাইটে স্পনসর/রেফার/এফিলিয়েট মাধ্যেমও অনেক টাকা আয় করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন স্পন্সর লিংক কোড/ এফিলিয়েট কোড এর মাধ্যমে অনেক কোম্পানি থেকে অনেক টাকা আয় করত পারেন। আপনি দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানি থেকে এই ধরনের কাস্টম এড বা লিংক এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন। এই টাকা আপনার এডসেন্স এ যোগ হবে না। এরা আপনাকে সরাসরি ব্যাংক বা অন্য উপায়ে পেমেন্ট করবে।
এইভাবে আপনারা ফ্রিতে ব্লগার সাইট খুলে এর থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনাকে লেগে থাকতে হবে। ওয়েবসাইট খুলে সফল হতে আপনাকে অনেক দিন ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে। আপনি প্রতিদিন নিয়মিত পোস্ট করবেন তাহলে খুব শীগ্রই আপনার সাইট র্যাংকিং এ চলে আসবে। লেগে থাকলে আপনি ইনশাআল্লাহ সফল হবে। আপনার জন্য দোয়া কামনা করি।
আজকের মত এই পর্যন্তই ।যদি উক্ত আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের কাছে শেয়ার করুন।
প্রতিদিন এই রকম প্রয়োজনীয় আর্টিকেলটি পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
দোয়ামে ইয়াদ রাখনা
খোদা হাফেজ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
কোনো কিছু জানার বা অভিযোগ থাকলে নিচে কমেন্ট করুন