এজেন্ট কিভাবে নিবেন |
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহমানির রাহিম।
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালোই আছেন।
ব্লগে আপনাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই ব্লগে আপনার সাথে আলোচনা করব কিভাবে আপনারা খুব সহজেই বিকাশ/রকেট/নগদ/উপায় এর এজেন্ট/মার্চেন্ট নিতে পারেন। এই ব্লগ/আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা খুব সহজেই নিজের ঘরে বা দোকানে বসেই এজেন্ট এর জন্য অনলাইন আবেদন করতে পারবেন। আপনি চাইলে সরাসরি উক্ত এজেন্ট/মার্চেন্ট সার্ভিসের ডিস্ট্রিবিউটর এর কাছে গিয়েও আবেদন রাখতে পারেন।
এজেন্ট বা এজেন্ট পয়েন্ট কি?
আপনারা হয়তবা কোনো না কোনো সময় বিকাশ রকেট অথবা উপায়ের মাধ্যমে দোকান থেকে টাকা তুলেছেন। যেই দোকান বা যার মাধ্যমে আপনি আপনার একাউন্টে থাকা টাকা তুলেছেন সেই ব্যাক্তি হচ্ছে এজেন্ট/উদ্দোক্তা। আর উক্ত দোকান এর লোকেশন কে বলবে এজেন্ট পয়েন্ট। গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা গ্রহন ও প্রদানের মাধ্যমে তারা কিছু কমিশন পেয়ে থাকেন।
মার্চেন্ট বা মার্চেন্ট পয়েন্ট কিঃ
আপনারা অনেক সময় দেখবেন বিভিন্ন দোকানে বা শপে কেনাকাটা করার পর বিকাশ পেমেন্ট করা যায়। এখন আপনি কোথাও গেছেন কেনাকাটা করার জন্য। আপনার কাছে ক্যাশ টাকা নেই। এমতাবস্থায় আপনি আপনার একাউন্টে থাকা টাকা এজেন্ট থেকে তুলে কেনাকাটা করতে পারেন। এখন উক্ত দোকানে যদি মার্চেন্ট বা পেমেন্ট সার্ভিস থেকে তাহলে আপনি খুব সহজেই তাকে কেনাকাটার পেমেন্ট করতে পারবেন। এই যে দোকান বা ব্যাক্তিকে আপনি পেমেন্ট করছেন এখানে উক্ত ব্যাক্তি মার্চেন্ট সিম নিয়ে রেখেছে। এই রকম মার্চেন্ট সিম বা একাউন্ট আপনি নিতে পারবেন। এতে গ্রাহক আপনাদের দোকান বা শপ থেকে কোনো কিছু কিনলে আপনাকে পেমেন্ট করতে পারবে।
এজেন্ট/মার্চেন্ট কারা নিতে পারবেঃ
যাদের একটি বৈধ দোকান ও দোকানের মেয়াদসহ লাইসেন্স আছে। তারা এজেন্ট /মার্চেন্ট এর আবেদন করতে পারবেন। এর পাশা পাশি আপনার আইডি কার্ড ও থাকতে হবে।
এজেন্ট/মার্চেন্ট নিতে কি কি ডকুমেন্টস লাগেঃ
১। আপনার আইডি কার্ড ও তার রঙ্গিন ফটোকপি।
২। দোকানের ট্রেড লাইসেন্স।
৩। ই-টিন সার্টিফিকেট।
৪। আপনার ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটোকপি।
৫। ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি।
৬। চলমান ই-মেইল এড্রেস।
কিভাবে বা কোথায় আবেদন করতে হবেঃ
আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে এজেন্ট অথবা মার্চেন্ট এর জন্য আবেদন করতে পারেন। অনলাইনের আবেদন বর্তমানে বিকাশে আছে। বাকি গুলোর মধ্যে আশা করি খুব শীগ্রই চলে আসবে। তাছাড়া অনলাইনে আবেদনে অনেক দেরি হয়ে থাকে। এই কারণে, আপনার সরাসরি আপনার নিকটস্থ ডিস্ট্রিবিউটর এ যোগাযোগ করুন। অনলাইন থেকে সরাসরি আবেদনে অনেক তাড়াতাড়ি এজেন্ট বা মার্চেন্ট পাওয়া যায়। নিকটস্থ ডিস্ট্রিবিউটর এর ঠিকানা জানতে আশে পাশের যেকোনো এজেন্ট এর সাথে কথা বলুন। আপনি চাইলে উক্ত সার্ভিসের হেল্প লাইনে কল করেও ঠিকানা খুজে নিতে পারেন। যেমন, বিকাশ এজেন্ট বা মার্চেন্ট নিতে চাইলে আশে পাশে থাকা যেকোনো এজেন্ট বা মার্চেন্ট কে জিজ্ঞাসা করলেই বলে দেবে। এই রকম ভাবে আপনি যদি অন্য কোনো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের এজেন্ট বা মার্চেন্ট নিতে চান তাহলে উক্ত এজেন্ট বা মার্চেন্ট আছে এমন ব্যাক্তির সাথে কথা বলুন।
এজেন্ট/মার্চেন্ট নিতে কোনো ফি লাগেঃ
না। তবে, কিছু টাকা আপনার সিমে(এজেন্ট/মার্চেন্ট) এ ইন করতে হবে।
এজেন্ট /মার্চেন্ট কি একই ব্যাক্তি নিতে পারবেঃ
না। একজন মানুষ তার আইডি দিয়ে এজেন্ট অথবা মার্চেন্ট যেকোন একটি নিতে পারবে।তবে, উক্ত এজেন্ট বা মার্চেন্ট তার উক্ত এজেন্ট অথবা মার্চেন্ট একাউন্টের পাশা পাশি পারসোনাল একাউন্ট সিম ব্যবহার করতে পারবে।
অর্থাৎ,
এজেন্ট+পারসোনাল=চালাতে পারবে
মার্চেন্ট+পারসোনাল=চালাতে পারবে
এজেন্ট+মার্চেন্ট=চালাতে পারবে না
পারসোনাল রিটেইল+ পারসোনাল=চালাতে পারবে
পারসোনাল রিটেইল+এজেন্ট=চালাতে পারবে না
পারসোনাল রিটেইল+মার্চেন্ট= চালাতে পারবে না
(পারসোনাল রিটেইল শুধুমাএ বিকাশ এর বেলায়)
এজেন্ট সিমে মাসে কত টাকা লেনদেন করা যায়ঃ
এজেন্ট সিমে লেনদেন করার কোনো লিমিট নেই। আপনি যত লেনদেন করবেন তত কমিশন পাবেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত আপনাকে উক্ত সার্ভিসের DSO জানিয়ে দেবে।
মার্চেন্ট সিমে মাসে কত টাকা লেনদেন করা যায়ঃ
মার্চেন্ট একাউন্ট অনেক ধরনের হয়ে থাকে। আপনি যেই ধরণের মার্চেন্ট নিতে চান সেই ধরনের একাউন্ট এ থাকা লিমিট পাবেন।
যেমন, কিছু মার্চেন্ট দিনে একটা নির্দিষ্ট লিমিট থাকে যে, আপনি প্রতিদিন ও মাসে সর্বোচ্চ এত টাকা পেমেন্ট গ্রহন করতে পারবেন। একইভাবে, কিছু মার্চেন্ট একাউন্ট আছে যেগুলোতে কোনো লিমিট নেই । আপনি যত টাকা মন চায় পেমেন্ট নিতে পারবেন।
আপনি যেই ধরণের একাউন্ট করতে চান তা নিয়ে উক্ত DSO থেকে বিস্তারিত জেনে নিবেন।
এজেন্ট সিম দিয়ে মাসে কত টাকা আয় সম্ভবঃ
এটা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। আপনি যত টাকা ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট করবেন আপনার তত টাকা আয় হবে।
বর্তমানে এজেন্ট প্রতি হাজার টাকা লেনদেন করাতে ৪.১০ টাকা কমিশন পান। দেশের সকল মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের এজেন্ট কমিশন পায় একই। এছাড়াও মাসে নির্দিষ্ট টার্গেট পূরন সাপেক্ষে আরো অনেক টাকা আয় সম্ভব।
মার্চেন্ট সিম থাকার ফলে আপনি আপনার প্রাপ্ত টাকা পেয়ে যাচ্ছেন। টাকা বাকি পরার কোনো সুযোগ থাকে না।
এজেন্ট বা মার্চেন্ট নিতে কত দিন সময় লাগেঃ
এজেন্ট বা মার্চেন্ট এর আবেদন করার ৭-৩০ দিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি।
আইডি কার্ড ছাড়া অর্থাৎ পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে এজেন্ট বা মার্চেন্ট নেয়া যাবেঃ
না। এজেন্ট বা মার্চেন্ট নিতে গেলে আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক। পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে আপনি পারসোনাল একাউন্ট খুলতে পারবে।
কিভাবে অনলাইনে আবেদন করবেনঃ
বিকাশঃ এখানে ক্লিক করুন
উপায়ঃ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ এ মেসেজ মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।
নগদ/রকেটঃ সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করুন।
এজেন্ট/মার্চেন্ট সিম কি নিজে নিতে হবেঃ
হ্যা। আপনি আপনার নামে নিবন্ধিত এমন একটি সিম নিয়ে যাবেন যেই সিমে কোনো একাউন্ট খোলা নেই। ধরুন, আপনি বিকাশ এজেন্ট নিতে চান এখন উক্ত সিমে বিকাশের কোনো একাউন্ট থাকলে হবে না।তবে, বিকাশ পারসোনাল একাউন্ট আছে, এখন আপনি চাইলে অন্য সার্ভিসের এজেন্ট খুলতে পারবেন।একই সিমে একই সার্ভিসের একাউন্ট থাকতে পারবে না। আপনার নামে নিবন্ধিত সিম নিয়ে যাবেন যাতে সিম হারিয়ে গেলেও আপনি তুলতে/রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন।
উক্ত সার্ভিস নিয়ে আরো জানতে_
বিকাশঃ ১৬২৪৭ / support@bkash.com / livechat.bkash.com
নগদঃ ১৬১৬৭ / 09609616167 / info@nagad.com.bd
রকেটঃ ১৬২১৬
উপায়ঃ ১৬২৬৮ / info@upaybd.com
বিকাশ নিয়ে আরো কিছুঃ
এই বিষয়ে আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে ভিডিও দেয়া হবে। সবার আগে দেখতে সাবস্ক্রাইব করে আসুন।
বিকাশ এর চলমান কিছু অফার দেখতে ক্লিক করুন।
বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করুনঃ
বিকাশের সকল অফার ও আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
আমাদের ওয়েবসাইট
আমাদের চ্যানেল
আমাদের পেইজ
আমাদের গ্রুপ
আমাদের ইমেইল
আজকের মত এখানেই শেষ করলাম। পরবর্তী ব্লগে আরো নতুন কিছু নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এই রকম ব্লগ আরো পেতে নিয়মিত আমাদের ব্লগ ভিজিট করুন। উক্ত আর্টিকেলটি ভালো লাগলে লাইক ও বন্ধুদের কাছে শেয়ার করুন।
দোয়ামে ইয়াদ রাখনা
খোদা হাফেজ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
কোনো কিছু জানার বা অভিযোগ থাকলে নিচে কমেন্ট করুন