আনঅফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় |
অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়ঃ
হ্যালো বন্ধুরা,
আজকের ব্লগে আপনাদের সাথে অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোন চেনার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
তার আগে আপনাদের সাথে অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোন কি এই নিয়ে আলোচনা করি।
অফিসিয়াল ফোন কিঃ
যে সকল ফোনের উপর বাংলাদেশ সরকারকে ভ্যাট/ট্যাক্স/কর দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ আপনি একটি ফোন কিনেছেন, উক্ত ফোনের উপর যদি সরকারকে কোনো ট্যাক্স দেয়া থাকে তাহলে মনে করবেন উক্ত ফোনটি অফিসিয়াল বা বৈধ।
আনঅফিসিয়াল ফোন কিঃ
যে সকল ফোনের উপর সরকারকে কোনো প্রকার ভ্যাট বা ট্যাক্স দেওয়া হয়নি।
অর্থাৎ আপনি একটি ফোন কিনেছেন এখন যদি উক্ত ফোনের উপর কোনো ভ্যাট বা ট্যাক্স দেয়া না থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার ফোনটি আনঅফিসিয়াল বা অবৈধ।
আনঅফিসিয়াল বা অফিসিয়াল ফোনে মধ্যে কোনটা ভালোঃ
অফিসিয়াল ফোন অথবা আনঅফিসিয়াল ফোন দুটো ফোন একই! আপনাদের উপরেই বলেছি, অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে শুধু একটাই পার্থক্য, একটার উপর সরকারকে ট্যাক্স দেয়া আছে আরেকটার উপর দেওয়া হয়নি।
তবে, আনঅফিসিয়াল ফোন দেশে নেট কাজ করবে না। ৩০শে জুন ২০২১ এর আগে যেই আনঅফিসিয়াল ফোন গুলোর মধ্যে একবার হলেও সিম লাগানো হয়েছে , সেগুলো বৈধ করে দেয়া হবে।
কিন্তু এখন আপনি যদি কোনো ফোন কিনতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফোনের বৈধতা যাচাই করে কিনতে হবে, সেই ফোন হোক নতুন কিংবা পুরাতন। অথবা আপনি চাইলে নিজেই আপনার হাতে থাকা ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল সেটা চেক করতে পারবেন। নিচে ফোনের বৈধতা যাচাইয়ের পদ্ধতি দেয়া হলো;
ফোনটি বৈধ না অবৈধ অথবা বলা যায় অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল সেটি কিভাবে যাচাই করবেনঃ
ফোনের বৈধতা যাচাইয়ের তিনটি পদ্ধতি আছে; নিচে তা দেয়া হলো;
১ম পদ্ধতিঃ
১/ আপনার ফোনের ডায়াল প্যাডে গিয়ে ডায়াল করুন *#০৬# ;
২/ এর পর আপনা স্ক্রিনে দুইটি আইএমইআই(IMEI) নাম্বার দেখাবে। প্রত্যেকটি IMEI নাম্বার ১৫ ডিজিটের হয়ে থাকে।উক্ত IMEI নাম্বার কোথাও লিখ
৩/ তারপর মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখুন KYD <space>১৫ সংখ্যার IMEI নাম্বার এবং পাঠিয়ে দিন ১৬০০২ নম্বরে।
উদাহরণঃ KYD 256398547563
এই রকম ভাবে লিখে পাঠিয়ে দিন ১৬০০২ নম্বরে।
ফিরতি এসএমএস এ আপনাকে মেসেজ মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে যে,
যদি ফোনটি বৈধ বা অফিসিয়াল হয়ঃ
ডিভাইসটির IMEI বিটিআরসি’র ডাটাবেইজে পাওয়া গেছে।
যদি ফোনটি অবৈধ বা আনঅফিসিয়াল হয়ঃ
ডিভাইসটির IMEI বিটিআরসি’র ডাটাবেইজে পাওয়া যায়নি, দয়া করে পূর্নাঙ্গ IMEI (/,#,- সহ অন্যান্য বিশেষ চিহ্ন বাদে শুধুমাএ ১৫ টি নম্বর) লিখে পুনরায় চেষ্টা করুন। KYD<space>15 digit IMEI numer লিখে পাঠিয়ে দিন ১৬০০২ নম্বরে।
আরেকটি বিষয় দুটি IMEI নাম্বারের মধ্যে যেকোনো একটি দিয়েই এর বৈধতা যাচাই করতে পারবেন।আপনি চাইলে দুই টি IMEI নাম্বার দিয়ে দুইবার মেসেজ করেও জানতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ মেসেজ এর জন্য সিম থেকে কোনো টাকা কাটবে না।এসএমএস চার্জ ফ্রি।
২য় পদ্ধতিঃ
১/ ডায়াল প্যাডে গিয়ে ডায়াল করুন *১৬১৬১#
২/ স্ক্রিনে একটি অপশন দেখতে পারবেন,To Check IMEI Status এটি সিলেক্ট করুন। অর্থাৎ 1 লিখে সেন্ড/রিপ্লে করুন।
৩/এরপর আপনাকে IMEI নাম্বার লিখে রিপ্লে করতে হবে।যেই ফোনের বৈধতা জানতে চান সেই ফোনের IMEI লিখতে হবে।
ফিরতি এসএমএস এ আপনাকে ফোনের বৈধতা জানানো হবে।
যদি ফোনটি বৈধ বা অফিসিয়াল হয়ঃ
ডিভাইসটির IMEI বিটিআরসি’র ডাটাবেইজে পাওয়া গেছে।
যদি ফোনটি অবৈধ বা আনঅফিসিয়াল হয়ঃ
ডিভাইসটির IMEI বিটিআরসি’র ডাটাবেইজে পাওয়া যায়নি, দয়া করে পূর্নাঙ্গ IMEI (/,#,- সহ অন্যান্য বিশেষ চিহ্ন বাদে শুধুমাএ ১৫ টি নম্বর) লিখে পুনরায় চেষ্টা করুন। KYD<space>15 digit IMEI numer লিখে পাঠিয়ে দিন ১৬০০২ নম্বরে।
আরেকটি বিষয় দুটি IMEI নাম্বারের মধ্যে যেকোনো একটি দিয়েই এর বৈধতা যাচাই করতে পারবেন।আপনি চাইলে দুই টি IMEI নাম্বার দিয়ে দুইবার মেসেজ করেও জানতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ মেসেজ এর জন্য সিম থেকে কোনো টাকা কাটবে না।এসএমএস চার্জ ফ্রি।
৩য় পদ্ধতিঃ
http://neir.btrc.gov.bd এই লিংক এ একাউন্ট খুলে খুব সহজেই যেকোনো ফোনের IMEI নম্বরের মাধ্যমে ফোনের বৈধতা যাচাই করতে পারবেন।
অনেক সময় এরকম হয় যে, আপনি ফোন টি কাস্টমার কেয়ার থেকে কিনেছেন কিন্তু ফোনটি বিটিআরসি’র ডাটাবেইজে পাওয়া যায়নি। এমতবস্থায় আপনাকে উক্ত ফোন কেনার রসিদ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে উক্ত কাস্টমার কেয়ার বা শো-রুম এ যোগাযোগ করুন। আপনি চাইলে প্রয়োজনীয় কাগজপএ দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমেও ফোনটিকে বৈধ করতে পারবেন।
বিশেষ ঘোষনাঃ
যাদের ফোনে ৩০জুন বা তার আগে একবার হলেও দেশি সিম ব্যবহার হয়েছে তাদের ফোন অটোমেটিক নিবন্ধন/বৈধ/অফিসিয়াল হয়ে যাবে। এখন আপনারা যদি আপনাদের ফোনে মেসেজ করে দেখেন যে, আপনার ফোনের IMEI বিটিআরসি’র ডাটাবেইজে নেই, তাহলে চিন্তা করবেন না। কয়েকদিনের মধ্যে আপনাদের ফোনের IMEI বিটিআরসি’র ডাটাবেইজে এন্ট্রি হয়ে যাবে। এই ব্লগ টি পাব্লিশ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার ফোনের IMEI আশা করি আপডেট হয়ে যাবে।
সতর্কতাঃ
ফোন কেনার আগে আপনাদের অবশ্যই এর বৈধতা যাচাই করে নিতে হবে। কারণ এখন থেকে যদি আপনি আনঅফিসিয়াল ফোন ক্রয় করেন তাহলে আপনাকে জরিমানা দিয়ে এটিকে বৈধ করতে হবে। অন্যথায়, এই ফোনে নেট বা সিম চলবে না।
অফিসয়াল টু আনঅফিয়ালঃ
যদি আপনার ফোনটি আনঅফিয়াল হয়ে থাকে বা ৩০শে জুন এর আগে দেশিয় সিম লাগানো হয়নি তাহলে, আপনারা খুব সহজেই আপনাদের ফোনটি আনঅফিসিয়াল থেকে অফিসিয়াল করতে পারবেন। এতে কিছু চার্জ ও প্রয়োজনীয় কাগজপএ লাগতে পারে। এই নিয়ে সামনে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল এর সাথেই থাকুন।
যদি এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো ও উপকার হয় তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। পরবর্তী ব্লগে আপনাদের সাথে নতুন আরো গুরুত্তপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আজকের মত এখানেই শেষ করলাম।
দোয়ামে ইয়াদ রাখনা
খোদা হাফেজ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
কোনো কিছু জানার বা অভিযোগ থাকলে নিচে কমেন্ট করুন